top of page

নেপাল ভ্রমণ







বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিবেশি দেশ নেপাল। ভূ-প্রকৃতির বৈচিত্রের কারণে নেপাল একটি ব্যতিক্রম দেশ। যেখানে জীবনের ছন্দ বিনম্র ধিরস্থীর এবং জীবনধারা ঐতিহ্যবাহী ও সাবলীল। এখানে প্রকৃতি সবচেয়ে চমৎকার। ভ্রমণের জন্য নেপালের উঁচু গগনচুম্বি পর্বত ও প্রশান্ত উপত্যাকাগুলো খুবই আদর্শ স্থান। নেপালের রূপ বৈচিত্র কেবল মনোলোভাই নয় অনন্যও বটে। নেপালের পর্বত যেমন আকাশ ছুঁয়েছে। তাই এখানকার অসংখ্য পর্বত প্রকৃতি প্রেমিকদের ব্যাপকভাবে হাতছানি দেয় অবকাশ যাপনের জন্য। এক কথায় বলা যায় গগনচুম্বি পর্বত ও রূপ বৈচিত্র অনন্য নেপাল। একারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল ভ্রমণ পিপাসুদের প্রিয় গন্তব্যর দেশ হচ্ছে নেপাল।

তিন–চার দিনের ছুটি হাতে নিয়ে গেলে আপনি শুধু ঘুরতে পারবেন কাঠমান্ডু এবং এর আশপাশের কিছু এলাকা। আর সাত বা আট দিন সময় পেলে পোখারা ও তার আশপাশের এলাকাগুলোও ঘোরার সুযোগ পাবেন আপনি। যাঁরা এভারেস্ট বা অন্নপূর্ণা বেসক্যাম্পে ট্রেকিংয়ের কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য অবশ্য সম্পূর্ণ আলাদা পরিকল্পনা। বলে রাখি, সুন্দর আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য পূর্বপরিকল্পনা ভীষণ জরুরি।

নেপালের যেসকল জায়গায় আপনি ঘুরে আসতে পারেনঃ

নেপালের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান হল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু (Kathmandu)।এটি জনসংখ্যা ও আয়তনের বিচারে নেপালের বৃহত্তম শহর। তবে শহরটি বিশ্বের অন্য কোন শহরের মতো নয়। শহরের কেন্দ্রস্থলে বিলাসবহুল পরিবেশের বিপরীতে রয়েছে প্রাচীন বিভিন্ন প্রাসাদ ও তাদের ধ্বংসস্তুপ এবং বিভিন্ন বৌদ্ধ ও হিন্দু মন্দির। তাই পর্যটনের পাশাপাশি শহরটি ঐতিহ্যগত ভাবেও খুবই মাহাত্ম্যপূর্ণ। আর নেপাল ভ্রমণের উত্তেজনাপূর্ণ অভিজ্ঞতা আসলে শুরুই হয় এই কাঠমান্ডু থেকে। এখানকার সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান হল দরবার স্কয়ার (Durbar Square)।এই দরবার স্কয়ারটি পাতান এবং ভক্তপুরের দরবার স্কয়ার এর তুলনায় অনেক বড়। কাঠমান্ডুর এই দরবার স্কয়ারটি ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান (World Heritage Site) হিসেবে স্বীকৃত।

নেপালের সেরা দর্শনীয় স্থান হল অন্নপূর্ণা (Annapurna)।এই অন্নপূর্ণা হল অনেকগুলো পর্বতের সমষ্টি। এটি পোখরার পশ্চিমে অবস্থিত। হিমালয়ের পশ্চিমাংশের কয়েকটি চূড়ার সারি এখানে অবস্থিত। অন্নপূর্ণার সবচাইতে উঁচু চূড়াটির উচ্চতা প্রায় ৮০০০ মিটার। এই অঞ্চলের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান হল অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প ট্র্যাক। যারা ট্র্যাক করে তাদের জীবনে একবার হলেও এখানে যাওয়া উচিত। আর তাই পেশাদার পর্বতারোহীদের জন্য এটি নেপালের সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্র্যাকিং স্পট। বছরের যে কোন সময় এখানে ট্র্যাক করা গেলেও অতিরিক্ত বরফের কারণে মাঝে মাঝে শীতকালে ট্র্যাক বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে এখানে ট্র্যাকিং-এর উপযুক্ত সময় হচ্ছে বসন্তকাল। অন্নপূর্ণা পর্বতসারির ট্রেকিং রাউটগুলোর মধ্যে অন্যতম হল অন্নপূর্ণা সেঞ্চুয়ারি ট্রেক, অন্নপূর্ণা বেইসক্যাম্প ট্রেক এবং অন্নপূর্ণা সার্কিট ট্রেক। ১৯৮৬ সালে একে নেপালের একটি প্রাকৃতিক সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

নেপালের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থানে আছে ভক্তপুর (Bhaktapur)। এর অবস্থান রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে। নেপালের প্রাচীন রাজধানীটি ছিল প্রাচীন রাজ-রাজাদের আবাসস্থল। শহরটির বুদগাঁও ও খৌপা নামে আরো দুইটি নাম রয়েছে। শহরটি মধ্যযুগীয় শিল্প-সাহিত্য, কাঠের কারুকাজ, ধাতুর তৈরি মূর্তি ও আসবাবপত্রের জন্য বিখ্যাত। এখানে দেখা যায় বৌদ্ধ ও হিন্দু মন্দিরের অপূর্ব সমন্বয়। তবে ভক্তপুরের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান হল দরবার স্কয়ার (Durbar Square)। এখানে রয়েছে প্রাচীন অনেকগুলো রাজপ্রাসাদ ছাড়াও বেশ কয়েকটি হিন্দু ও বৌদ্ধ মন্দির। ভক্তপুরের উল্লেখযোগ্য আরো কিছু দর্শনীয় স্থান হল পটার্স স্কয়ার, ভৈরবনাথ মন্দির, ভৈরব মূর্তি, রাজা ভূপতিন্দ্র মাল্লার কলাম, ভত্সলা দুর্গা মন্দির, ন্যাশনাল আর্ট গ্যালারি, সিদ্ধি লক্ষ্মী মন্দির, ফাসিদেগা মন্দির, দত্তনারায়ণ মন্দির, ভীমসেন মন্দির ইত্যাদি। পুরো শহরটিই ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান (World Heritage Site) হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

লিস্টের পরবর্তী স্থানে আছে রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত পোখরা (Pokhara)। জনসংখ্যার দিক দিয়ে এটি নেপালের বৃহত্তম শহর হলেও দেখে তা মনেই হবে না। শহরটি খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। তার সাথে মনোরম জলবায়ু এবং নির্মল বাতাস। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর নেপালের এই পোখরা শহরকে বলা হয় “নেপাল রানী” ও “নেপালের ভূস্বর্গ”। শহরটি পৃথিবীর সর্বোচ্চ কিছু পর্বতশৃঙ্গ দ্বারা ঘিরে রয়েছে যারা হল – ধৌলাগিরি, মানসলু, এবং অন্নপূর্ণা। পোখরার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম হল নেপালের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক লেক, ফেওয়া লেক। লেকের মাঝামাঝি স্থানে “বারাহি হিন্দু মন্দির” নামে একটি হিন্দু মন্দির আছে। এছাড়া পোখরার আরো কিছু দর্শনীয় স্থান হল ডেভিস ফল, মহেন্দ্র গুহা, শরনকোট, ইন্টারন্যাশনাল মাউন্টেন মিউজিয়াম, গুরখা মেমোরিয়াল মিউজিয়াম, তিব্বতিয়ান বুদ্ধীজম মোনাষ্ট্রী ইত্যাদি। তাছাড়া ট্রেকারদেরর জন্য, পোখরা হিমালয়ের গেটওয়ে এবং এটি জমসম ও অন্নপূর্ণা অঞ্চলের ট্রেকগুলির শুরুও হয় পোখরা থেকেই।


নেপালের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থানে আছে লুম্বিনি (Lumbini)। নেপালের তীর্থ যাত্রীদের কাছে এই লুম্বিনি খুবই জনপ্রিয় একটি স্থান। কারণ, ধারণা করা হয়, এটাই সম্ভবত গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান। এর অবস্থান নেপালের দক্ষিণপশিমাঞ্চলের একটি ছোট্ট শহরে। প্রত্নতাত্ত্বিক ভাবে এর বেশ গুরুত্ব রয়েছে কেননা এটি ৫৫০ খ্রিস্টপূর্বের নিদর্শনও বহন করছে। কথিত আছে গৌতম বুদ্ধের মা, মায়া দেবী, এখানে বাগানের একটি গাছের কাছে তার জন্ম দিয়েছিলেন। সেখানে ছোট একটি পার্কের মাঝে মায়া দেবীর নামানুসারে ‘মায়া দেবী মন্দির‘ নামে একটি মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। সারা বিশ্ব থেকে বৌদ্ধ তীর্থযাত্রীদের এই তীর্থস্থান ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান (World Heritage Site) হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

কিভাবে যাবেনঃ

আপনার ছুটি কত দিনের তার ওপর ভিত্তি করে আপনার পরিকল্পনা সাজিয়ে নিন। আকাশ ও সড়কপথে নেপাল যাওয়া যায়। তবে আকাশপথে খরচ বেশি হবে আর সময় ও শারীরিক পরিশ্রমের মাত্রা বেশি হবে সড়কপথে। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু এবং কাঠমান্ডু থেকে ঢাকা চলাচল করে প্রতিদিন। ঢাকা থেকে ফ্লাইটে কাঠমান্ডু পৌঁছাতে সময় লাগে দেড় ঘণ্টার মতো। বোর্ডিং কার্ড নেওয়ার সময় বাঁ দিকে আসন নেওয়ার চেষ্টা করবেন, তাহলে ল্যান্ডিংয়ের আগে একনজর হিমালয় দেখে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। ত্রিভুবন এয়ারপোর্টে ঢোকার মুখে নিরাপত্তা তল্লাশিচৌকিতে দীর্ঘ লাইন হওয়া খুব স্বাভাবিক ঘটনা। নেপালে শুধু প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখাই নয়, অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের সুবিধাও রয়েছে।

কোথায় থাকবেন এবং খাবেনঃ

কাঠমান্ডুর পর্যটন এলাকার নাম থামেল। এটি কাঠমান্ডুর পুরোনো এলাকার দিকে অবস্থিত। প্রতিটি গলিতে হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং কেনাকাটার প্রচুর দোকান আছে। বেশির ভাগ ভ্রমণকারী থামেলেই থাকেন। ইন্টারনেট ঘেঁটে দেশে বসেই দেখে নিতে পারেন আপনার বাজেট অনুসারে হোটেলগুলোর অবস্থা। এ ছাড়া ওয়ো (OYO) মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করেও খুঁজে নিতে পারেন আপনার পরিকল্পনামতো পছন্দের হোটেল। তবে বলে রাখি, অ্যাপে বা নেটে দেখা ছবি ও রেটিংয়ের সঙ্গে আসল জায়গার মিল সব সময় নাও থাকতে পারে। কাজেই সরাসরি থামেলে পৌঁছে, পায়ে হেঁটে কিছু হোটেল সরাসরি দেখে নিয়ে বুকিং করাও একটা ভালো উপায়। চেক-ইনের সময় দেখে নিন হোটেলে যেন গরম পানি, ওয়াই-ফাই, পরিষ্কার লিনেন ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিস থাকে। এ হোটেলগুলো আপনি প্রতিদিন বাংলাদেশি টাকায় ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে পাবেন। আর যাঁরা অনেকের সঙ্গে ভাগাভাগি করে থাকতে চান বা ব্যাকপ্যাকার পরিবেশে থাকতে চান, তাঁদের জন্য আছে জোস্টেল (Zostel) নামের দারুণ হোটেল চেইন। কাঠমান্ডু, পোখারা দুই শহরেই পাবেন জোস্টেলের সুবিধা। বুকিং করে নিতে হবে ওয়েবসাইট থেকে। এগুলোতে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বাঙ্ক বেড আর ২ হাজার টাকার মধ্যে পাবেন আলাদা কক্ষ। সুবিধা ও চাহিদা অনুসারে দামের হেরফের হতে পারে। তাই আগেভাগে বুকিং করা ভালো।

হোটেলের আশপাশেই পেয়ে যাবেন খাবার রেস্তোরাঁ। অনেক সময় রেস্তোরাঁগুলোতে যে খাবার দেয় তা দুজনে ভাগ করে খাওয়াও সম্ভব। কাঠমান্ডু পৌঁছে ইন্টারনেট প্যাকেজসহ একটি মোবাইল সিমকার্ড কিনে নিন। নেপালে ফোনকলের খরচ অনেক বেশি। ইন্টারনেট থাকলে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে ফ্রি যোগাযোগের সুযোগ পাবেন।

ভ্রমণের সঠিক সময়ঃ

নভেম্বার থেকে ফেব্রুয়ারি হল নেপালের সৌন্দর্যের চূড়ান্ত সময় এটি। ভ্রমণকারীদের পদচারণায় মূখর থাকে নেপাল এসময়। সুন্দর আবহাওয়া, ঝকঝকে নীল আকাশ, সুস্পষ্ট দৃশ্যাবলী, সবচেয়ে যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল হিমালয়ের অসাধারণ রূপের দেখা মেলে এই সময়েই। খরচটাও বেশি পড়ে। তবে এ সময় বেড়াতে গেলে পয়সা উসুল। অভূতপূর্ব সুন্দর দেখে মুগ্ধ হয়ে যাবেন আপনি।

মার্চ থেকে এপ্রিল আর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরের শেষ এই সময় বেশ ফাঁকা পাবেন নেপাল। খরচ বেশ কম থাকে এসময়। আবহাওয়াও সুন্দর। তবে বলা যায় না, যে কোন সময় মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যেতে পারে চারপাশ। হিমালয়ের অপূর্ব দৃশ্য আপনার ভাগ্যে নাও থাকতে পারে। সময় নিয়ে গেলে আবহাওয়া ভালো দেখে একটা দিনে সারতে পারবেন হিমালয় দর্শন।

মে থেকে আগস্ট আবহাওয়া এ সময় মেঘলা। বৃষ্টি যেদিন শুরু হয় সেদিন থাকে ভয়াবহ অবস্থা। পাহাড়ী ঢল হয়ে প্রায়ই হাইওয়ে বন্ধ হয়ে যায় নেপালের। পাহার চূড়া দেখার জন্য সবচেয়ে অনুপযুক্ত সময় এটি। প্রকৃতিকে দেখা নয়, ভিনদেশে অলসতা করতে যেতে চাইলে এই সময়টা সবচেয়ে ভালো। আবার লম্বা সময় অবস্থান করলে প্রকৃতির মর্জি অনুযায়ী তার অপূর্ব রূপটাও হয়ত দেখতে পাবেন।



ফ্রি ভিসা এবং নেপাল ভ্রমণ নিয়ে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্যঃ

১। হিন্দি ভাষা জানা থাকলে খুব সুবিধা হবে নেপালিদের সাথে যোগাযোগ করতে। ওখানে প্রায় সবাই হিন্দিতে কথা বলেতে পারে।

২। নেপাল ভ্রমণ সিজন শুরু হয় অক্টোবর থেকে এবং চলে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত। তাই এসময় বেশী ভিড় থাকে। ভিড় এড়াতে চাইলে আগস্ট – সেপ্টেম্বর মাসের দিকে ভ্রমণ করুন।

৩। চেষ্টা করবেন কমপক্ষে ১ মাস আগে থেকে বুকিং দিতে। আপনার বিমান ভাড়া, সময় সহ শিডিউল নির্ধারণ করে নিবেন।

৪। নেপাল যাবার সময় বিমানের ডান দিকে এবং ফেরার সময় বাম দিকে সিট নেয়ার চেষ্টা করবেন। সেক্ষেত্রে আকাশ পরিস্কার থাকলে বিমান থেকেই হিমালয় দেখতে পাবেন।

৫। নেপাল বিমানবন্দরে অবতরণের পর সার্ক ভুক্ত দেশের জন্য আলাদা ভিসা লাইন পাবেন। অন-আরাইভাল ভিসার জন্য সেই লাইনে দাড়িয়ে যাবেন।

৬। বছরে ১ বার নেপাল গেলে সেক্ষেত্রে কোন ভিসা ফি লাগবে না। দ্বিতীয়বার থেকে ফি প্রযোজ্য।

৭। ভিসার জন্য ১টি বোর্ডিং কার্ড এবং ১টি ভিসা ফর্ম পূরণ করতে হয়। এর সাথে ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগবে। বিমানে থাকাকালীন অবস্থায় এয়ারহোস্টেসরা আপনাকে এগুলো দিয়ে দিবে। এয়ারপোর্টে গেলে ওরাই আপনাকে ছবি লাগিয়ে দিবে।

৮। ভিসা দেবার সময় সাধারণত আপনাকে কোন প্রশ্ন করা হবে না। সর্বনিম্ন ৩০ দিনের ভিসা পেয়ে যাবেন অতি দ্রুত।

৯। সাধারণত সীম কার্ড কেনা ছাড়া অন্য সময় ডকুমেন্টস লাগে না। তবে সমস্যা এড়াতে পাসপোর্ট ফটোকপি, জাতীয় পরিচয়পত্র, কয়েক পাসপোর্ট সাইজ ছবি, হোটেল বুকিং এর প্রিন্টেড কপি ইত্যাদি সাথে রাখুন।

bottom of page